ঢাকা,সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

ভোটের মাঠে আওয়ামী লীগের নতুন প্রার্থী

চকরিয়া-পেকুয়া আসনে মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন ফজলুল করিম সাঈদি

নিজস্ব প্রতিবেদক ::
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কক্সবাজার ১ (চকরিয়া পেকুয়া) আসনে ভোটের মাঠে আওয়ামী লীগের নতুন প্রার্থী চকরিয়া উপজেলা পরিষদের জনপ্রিয় চেয়ারম্যান ও চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি আলহাজ্ব ফজলুল করিম সাঈদি আনুষ্ঠানিক ভাবে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার ২১ নভেম্বর দুপুরে রাজধানী ঢাকায় আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে নির্বাচনী এলাকার দলীয় নেতাকর্মী ছাড়াও কর্মী সমর্থক শুভানুধ্যায়ী সবাইকে সাথে নিয়ে সংসদ সদস্য প্রার্থী হিসেবে দলীয় মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন সফল ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব ও শ্রমিক সংগঠক আলহাজ্ব ফজলুল করিম সাঈদি।
গতকাল মঙ্গলবার আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম জমাদান পরবর্তী দলীয় কার্যালয়ে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন চকরিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলুল করিম সাঈদি। এসময় তাঁর সঙ্গে চকরিয়া উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি শওকত হোসেন, উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা পরিমল বড়ুয়া, আওয়ামী লীগ নেতা আবছার উদ্দিন মাহমুদ, লক্ষ্যারচর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি রেজাউল করিম সেলিম,
চকরিয়া পৌরসভার কাউন্সিলর সাইফুল ইসলাম, ছাত্রলীগের সাজ্জাদ হোসেন ছাড়াও দলীয় অসংখ্য নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

কক্সবাজার ১ আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি আলহাজ্ব ফজলুল করিম সাঈদি ২০১৯ সালে অনুষ্ঠিত চকরিয়ার ইতিহাসে স্বরণকালের নিরপেক্ষ নির্বাচনে বিপুল ভোটে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। তাঁর আগে তিনি চকরিয়া পৌরসভার তিনবারের কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়ে সফলতার সঙ্গে জনপ্রতিনিধির দায়িত্ব পালন করেছেন। আওয়ামী লীগের রাজনীতির পাশাপাশি ফজলুল করিম সাঈদি একজন জনপ্রিয় ক্রীড়া সংগঠক। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য সন্তান শেখ জামাল এর নামে প্রতিষ্ঠান ক্রীড়া সংগঠন চকরিয়া শেখ জামাল ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান তিনি।

জনপ্রিয় ক্রীড়া সংগঠক ফজলুল করিম সাঈদি বর্তমানে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) এর শাখা প্রতিষ্ঠান কক্সবাজার জেলা ফুটবল ফেডারেশন (ডিএফএ) তিনবারের নির্বাচিত সভাপতি হিসেবে জেলার ক্রীড়াঙ্গনকে বিকশিত করতে দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। একইসঙ্গে তিনি টানা চারবারের নির্বাচিত সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন কক্সবাজার জেলা ট্রাক মিনিট্রাক পিকআপ শ্রমিক ইউনিয়নের। এই সংগঠনে ২০-২২ হাজার শ্রমিক পেশায় কর্মরত রয়েছেন। শ্রমিক জনতা সবাই তাদের সভাপতি ফজলুল করিম সাঈদিকে এবার আওয়ামী লীগের এমপি প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিকে মুখিয়ে আছেন। একইসাথে জনপ্রিয় শ্রমিক সংগঠক ফজলুল করিম সাঈদি বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় কমিটির গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বেও রয়েছেন।

চকরিয়া উপজেলা সদরের প্রবেশমুখ চকরিয়া পৌরসভার দুই নম্বর ওয়ার্ডের হালকাকারা (জনতা মার্কেট) এলাকার বাসিন্দা প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা ইছহাক আহমদ কন্ট্রাক্টরের ছেলে ফজলুল করিম সাঈদি দীর্ঘ ২৭ বছর ধরে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। সেই থেকে তিনি আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও জাতীয় শ্রমিকলীগের চকরিয়া উপজেলা কমিটির গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেন। সর্বশেষ তিনি চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের বিগত কমিটির সহসভাপতি পদে দায়িত্ব পালন করেন।

আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হবার পর দীর্ঘ ২৭ বছরে ফজলুল করিম সাঈদি ইতোপূর্বে অসংখ্য রাজনৈতিক হয়রানিমুলক মামলায় আসামি হয়েছেন। কারাভোগ করেছেন দীর্ঘ কয়েকবছর। বিএনপি জোটের সময় রাজনৈতিক হয়রানিমুলক মামলায় গ্রেফতার হয়ে তিনি নির্যাতনেরও শিকার হয়েছেন। আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক কার্যক্রম জোরদার করতে গিয়ে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান তারেক জিয়ার রোষানলে পড়েছেন। সেসময় তাকে গ্রেফতার করে একাধিকবার ডিটেনশনও দেওয়া হয়েছে। এসব জেল-জুলুম নির্যাতনের পরও ফজলুল করিম সাঈদি আওয়ামী লীগের মাঠের রাজনীতিতে অদ্যবদি সক্রিয় রয়েছেন।

আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী এমপি প্রার্থী জনপ্রিয় উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব ফজলুল করিম সাঈদি চকরিয়া নিউজকে বলেন, ২০১৯ সালে স্বরণকালের নিরপেক্ষ নির্বাচনে বিপুল ভোট দিয়ে চকরিয়াবাসি আমাকে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত করেছে। শত ইচ্ছা থাকলেও প্রশাসনিক সীমাবদ্ধতার কারণে আমি জনগণের জন্য কাঙ্খিত সেবা ও উন্নয়ন নিশ্চিত করতে পারিনি। কিন্তু গত পাঁচবছরে আমি চকরিয়া উপজেলাবাসির দেওয়া প্রতিদান সমুন্নত রাখতে চেষ্টা করেছি। একজন আওয়ামী লীগ নেতা বা উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে আমি এই ৫ বছরে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে কোনধরনের অনিয়ম অসঙ্গতির সঙ্গে নিজেকে জড়াইনি। হলফ করে বলতে পারি, আওয়ামী লীগের অন্য কোন নেতার মতো আমি পাঁচবছরে চকরিয়া উপজেলার যেকোনো এলাকায় কারো জায়গা জমি জবরদখল করিনি, মালিক চাষীদের জিন্মি করে চিংড়িজোনে লুটপাট চাঁদাবাজির মতো খারাপ কাজ করিনি। উপজেলা পরিষদের কোন দপ্তরে অযাচিত কোন হস্তক্ষেপ করিনি। একইভাবে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী কারো সঙ্গে কোনদিন অসৌজন্যমূলক আচরণ করিনি। চেষ্টা করেছি, আমার সাধ্যের মধ্যে সবাইকে সহযোগিতা করতে, দলীয় সকল কার্যক্রমে সম্পৃক্ত থাকতে। এই ৫ বছরে চকরিয়া উপজেলা পরিষদে সরকারিভাবে প্রাপ্ত সকল বরাদ্দ প্রশাসনের সহযোগিতায় প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদে সুষ্ঠু ভাবে বন্টন করে দিয়েছি। করোনাকালীন সময় থেকে অদ্যবদি সরকারি সহায়তার পাশাপাশি আমার ব্যক্তিগত উদোগে দুর্গত ও অসহায় গরীব মানুষের জন্য সাধ্যমতো সহায়তা নিশ্চিত করেছি। সরকারি গোয়েন্দা সংস্থার স্থানীয় প্রতিনিধিরা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে আমার আমলনামা ইতোমধ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দপ্তরে জমা দিয়েছেন।

নিশ্চয় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা এবার চকরিয়া পেকুয়া আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী হিসেবে আমাকে মুল্যায়ন করবেন। আমি বিশ্বাস করি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্যকন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চকরিয়া পেকুয়া আসনে কোন প্রার্থীকে নৌকার মাঝি মনোনীত করলে আওয়ামী লীগের উপর জনগণের আস্থা থাকবে, ত্যাগী ও নিবেদিত প্রাণ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী নিরাপদ থাকবে, যথাযথ সম্মান পাবে তা তিনি ভালো করে জানেন।

চকরিয়া উপজেলা পরিষদের জনপ্রিয় চেয়ারম্যান আলহাজ্ব ফজলুল করিম সাঈদি চকরিয়া নিউজকে বলেন, চকরিয়া উপজেলায় আমার বাড়ি। নির্বাচনী এলাকা পেকুয়া উপজেলার উজানটিয়া ইউনিয়নে আমার নানার বাড়ি। চকরিয়ার চেয়ে পেকুয়া উপজেলায় আমার আত্মীয় স্বজন ছাড়াও আওয়ামী লীগের সকলস্থরের নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। পাশাপাশি ক্রীড়া সংগঠক হিসেবে নতুন প্রজন্মের ভোটারদের কাছে আমার জনপ্রিয়তা বরাবরে ভালো অবস্থানে আছে। এছাড়া শ্রমিক সংগঠনের একটি বিশাল ভোট ব্যাংক আমার সঙ্গে আছেন। এছাড়াও চকরিয়া পেকুয়া উপজেলার লক্ষাধিক মন্ডল (বাড়িল) ভোট ব্যাংক রয়েছে যারা আমার আত্মার আত্মীয়। সবকিছু বিবেচনায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমাকে নৌকার মাঝি মনোনীত করলে ইনশাআল্লাহ বিপুল ভোটে চকরিয়া পেকুয়া আসনটি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উপহার দিতে পারবো।

এই আশা ভরসাকে পুঁজি করে চকরিয়া পেকুয়া উপজেলার অসহায় মানুষের স্বপ্ন পূরণের জন্য আমি দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম আনুষ্ঠানিক ভাবে জমা দিয়েছি। আমি প্রিয় চকরিয়া পেকুয়াবাসি সবার কাছে দোয়া প্রত্যাশী। মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের রহমতে আপনাদের সহযোগিতা ও দোয়া সহায় থাকলে ইনশাল্লাহ সফল হবো। ##

পাঠকের মতামত: